সম্প্রতি ওয়ানডে র্যাঙ্কিং প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। কিন্তু সেখানে কাকতালীয়ভাবে দেখা মেলেনি দেশসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের নাম। তাই এ নিয়ে বেশ শোরগোল শুরু হয়েছে। যেহেতু তিনি ওয়ানডে থেকে অবসর নেননি। সে হিসেবে র্যাঙ্কিংয়ে তার নাম থাকার কথা। কিন্তু সম্প্রতি প্রকাশিত র্যাঙ্কিংয়ে দেখা যায়নি তার নাম। যেহেতু সাকিব টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিয়েছেন সে হিসেবে ওই ফরম্যাট থেকে সরিয়ে ফেলা হয় সাকিবের নাম।
ওয়ানডে র্যাঙ্কিং থেকে সাকিবের নাম বাদ দেয়ায় অনেকেই বিস্মিত হয়েছে। এ বিষয়ে আইসিসির রুলসে বলা আছে, কোনো খেলোয়াড় এক বছরের বেশি সময় ওয়ানডে না খেললে তার নাম র্যাঙ্কিং থেকে সরিয়ে নেয়া হয়। সাকিব ২০২৩ সালের ৬ নভেম্বর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সবশেষ ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছিলেন। যেটি ছিল ওয়ানডে বিশ্বকাপের অংশ। বিশ্বকাপে পরের ম্যাচ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে থাকলেও ইনজুরির কারণে তিনি খেলতে পারেননি। এরপর থেকে বাংলাদেশ বেশ কয়েকটি সিরিজ খেললেও দেখা যায়নি সাকিবকে। ফলে এক বছরের বেশি সময় ওয়ানডে না খেলায় তার নাম র্যাঙ্কিং থেকে বাদ পড়েছে।
বর্তমানে ওয়ানডের অলরাউন্ডার র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে আছেন আফগানিস্তানের মোহাম্মদ নবী, দ্বিতীয় স্থানে আছেন জিম্বাবুয়ের সিকান্দার রাজা, তৃতীয় স্থানে রশিদ খান এবং চতুর্থ স্থানে আছেন বাংলাদেশের মেহেদি হাসান মিরাজ। সাকিব এক ম্যাচ খেললেই আবার র্যাঙ্কিংয়ে ফিরতে পারবেন।
সাকিবের পরিকল্পনা অনুযায়ী, তিনি ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলে ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অবসর নেবেন। তবে সম্প্রতি রাজনৈতিক ঘটনাবলির সঙ্গে তার সংযুক্তির পর অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের সময় ওয়ানডে সিরিজগুলোতে সাকিব খেলবেন কিনা তা নিয়ে এখনো নিশ্চিত তথ্য নেই। সেক্ষেত্রে হয়তো চ্যাম্পিয়নস ট্রফিই হতে পারে তার শেষ ওয়ানডে সিরিজ।