চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বরুমচড়ার সোলায়মান কাতার থেকে দেশে আসেন ১ ডিসেম্বর। সোলায়মানকে জানানো হয়, র্যাব ৭-এ তার বিরুদ্ধে ৪টি ফৌজদারি অভিযোগ আছে। ওই মামলায় তাকে যেকোন সময়ে ক্রসফায়ার দিতে পারে র্যাব।
নুরুল আলম টিপু নামের এক প্রতারক নিজেকে র্যাব কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে সোলায়মানকে এসব কথা বলেন। মামলা থেকে বাঁচতে তিনি সমাধান চান প্রতারক নুরুল আলম টিপুর কাছেই। টিপু অভিযোগকারীদের সাথে সমঝোতা করতে হবে জানিয়ে ৫ লাখ টাকা দাবি করেন। এরপর সোলায়মান ৫০ হাজার টাকা তুলে দেন টিপুর হাতে।
পরে সন্দেহ হলে ২৩ ডিসেম্বর র্যাব কার্যালয়ে গিয়ে মামলার বিষয়ে জানতে চান সোলায়মান। বিস্তারিত শুনে র্যাব কর্মকর্তারা রীতিমতো চমকে যান। যাবতীয় প্রমাণাদি হাতে নিয়ে বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) র্যাব আনোয়ারায় চাতরি চৌমুহনীতে অভিযান চালিয়ে টিপু ও তার সহযোগী নাজিম উদ্দিনকে আটক করে।
আটককৃত নুরুল আলম টিপু একই এলাকার মাহমুদ আলীর ছেলে ও নাজিম উদ্দিন বৈরাগ এলাকার সৈয়দুল হকের পুত্র।
বিষয়টি নিশ্চিত করে র্যাব-৭ এর অপারেশন অফিসার মো. মাশকুর রহমান চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘কাতার প্রবাসী মো. সোলায়মান প্রতারিত হয়ে আমাদের কাছে অভিযোগ করলে আমরা তদন্তে সত্যতা পাই। এর ভিত্তিতে আনোয়ারা উপজেলার চাতরি চৌমুহনী এলাকায় অভিযান চালিয়ে নুরুল আলম টিপু ও নাজিম উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করি। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল মাহমুদ চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে জানান, ‘কাতারফেরত মো. সোলায়মান থানায় এসে সাধারণ ডায়েরি করেছেন। প্রবাসীদের নিরাপত্তার বিষয়ে বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষ হেল্প ডেস্কও আছে। আমরাও বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছিলাম। যেহেতু র্যাব গ্রেপ্তার করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সংগৃহিত।