A F M ABRAR, Staff Correspondent
আজ দুপুরে কর্তৃপক্ষ তাদের দাবি পূরণের আশ্বাস দিলে চট্টগ্রামের বেসরকারি ক্লিনিক, হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারসমূহ তাদের অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নিয়েছে। গতকাল চট্টগ্রামের বেসরকারি ক্লিনিক, হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট ডাকায় আজ দ্বিতীয় দিনের মতো দুর্ভোগে পড়েছেন রোগীরা। নগরীর চারটি হাসপাতালে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযানের প্রতিক্রিয়ায় বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতালের মালিকরা এ ধর্মঘটের ডাক দেন। ফলে সকাল থেকেই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালসহ দুই সরকারি হাসপাতালে রোগীর ভিড় বেড়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম নগরীর আমাদের স্টাফ রিপোর্টার। চারটির মধ্যে একটি ছিল ম্যাক্স হাসপাতাল, গত ২৯শে জুন এক তিন বছর বয়সী শিশুর অপ্রত্যাশিত মৃত্যুর কারণে ইতিমধ্যেই এই হসপিটালটি কড়া সমালোচনা এবং নজরদারিতে ছিল। ওই ঘটনার পরপরই দুটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয় -- একটি গঠিত হয় স্বাস্থ্য পরিষেবার মহাপরিচালক (ডিজিএইচএস)নেতৃত্বে এবং অন্যটির নেতৃত্বে ছিলেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন- দুইটি কমিটির তদন্ত রিপোর্টেই দেখা যায়, হাসপাতালটি অসংখ্য অনিয়ম ও অসঙ্গতিতে জর্জরিত। গতকাল সকাল ১১টার দিকে অভিযান শুরু হওয়ার পরপরই, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) এবং বেসরকারী চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান মালিক সমিতি, বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতাল মালিকদের একটি অংশ, একটি জরুরি বৈঠক করে এবং অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ঘোষণা দেয়। এদিকে নগরীর স্বাস্থ্যসেবা খাতে নৈরাজ্যের প্রতিবাদে আজ প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ করবে সাংবাদিকসহ সমাজের একাংশের মানুষ।