ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসীম এ খানের যুক্তরাষ্ট্রে ১৪টি বাড়ি কেনার অভিযোগ দুর্নীতি দমনকমিশন চাইলে খুঁটিয়ে দেখতে পারে বলে জানিয়েছে হাইকোর্ট।
একটি বাংলা দৈনিক প্ত্রিকার চাঞ্চল্যকর রিপোর্টের প্রেক্ষিতে, দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান হাইকোর্টেরিপোর্ট এবং অভিযোগটি তুলে ধরার পর বিচারপতি মোঃ নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজিরহায়াত লিজুর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই অভিযোগের বিষয়ে কোন অগ্রগতি হলে দুদককে তা নিয়েপ্রতিবেদন দাখিলের অনুমোদন দিয়েছেন।
খুরশিদ হাইকোর্টের বেঞ্চের কাছে আবেদন করেন, দুদককে যাতে ১৫ দিনের মধ্যে অগ্রগতি প্রতিবেদন জমাদেওয়ার জন্য স্বতঃপ্রণোদিত নিয়মে নির্দেশ দেওয়া হয়। দুর্নীতি দমন কমিশন ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে দুটিঅভিযোগ নিয়ে তদন্ত করছে।
তবে হাইকোর্ট বলেছে যে, দুদক ইতিমধ্যেই অভিযোগের তদন্ত পরিচালনা শুরু করছে বলে হাইকোর্ট দুদককে এইব্যাপারে কোনও আদেশ দেবে না বা কোনও বিধিও জারি করবে না।
যোগাযোগ করা হলে ঢাকা ওয়াটার সাপ্লাই অ্যান্ড স্যুয়ারেজ অথরিটির (ওয়াসা) এমডি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে ১৪টিবাড়ি কেনার যে অভিযোগ তার বিরুদ্ধে আনা হয়েছে তা ‘শতভাগ মিথ্যা’।
তাকসীম বলেন যে তিনি বহু বছর ধরে মার্কিন নাগরিক এবং তিনি দ্বৈত নাগরিকত্বের অধিকারী (বাংলাদেশ ওযুক্তরাষ্ট্র), তবে তাঁর বা তাঁর আত্মীয়দের যুক্তরাষ্ট্রে উল্লেখযোগ্য তেমন সম্পত্তি নেই।
“ওখানে [যুক্তরাষ্ট্রে] আমার কিছুই নেই। আমার আত্মীয়দেরও তেমন সম্পদ নেই। আমি যুক্তরাষ্ট্রে আমারআয়কর ফাইলে বিস্তারিত সব তথ্য প্রদান করেছি,” তিনি বলেন।
তিনি আরো বলেন, “ওয়াসার এমডির দায়িত্ব নেওয়ার আগে, আমি, আমার স্ত্রী এবং আমার সন্তানরা মার্কিননাগরিক ছিলাম। তারা (স্ত্রী এবং সন্তানরা) ভাল বেতনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভাল চাকরি করে। আমার স্ত্রী তারবেতন দিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একটি অ্যাপার্টমেন্ট কিনেছিলেন। এর বাইরে আমাদের অন্য কোনো সম্পত্তিনেই”।
এমডি বলেন, ঢাকা ওয়াসায় তার নেওয়া ‘সংস্কার উদ্যোগের’ কারণে যাদের স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পত্রিকায়প্রকাশ হওয়া এসব প্রতিবেদন ও অভিযোগের পেছনে তাদেরই হাত রয়েছে।