CTG News 24 (CN24), National Desk
“কাউকে সরকারে আসতে হলে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হবে। সংবিধানে বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।” বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে ঢাকায় আসা যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকের পর এ মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
নির্বাচনে সহিংসতার কোনো আশঙ্কা রয়েছে কি না প্রতিনিধিদলের এমন প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, এর আগে অনেক সহিংসতা দেখেছি, প্রধানমন্ত্রীকে ১৯ বার হত্যাচেষ্টা করেছে। এখন দেশে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সুবাতাস বইছে।
সহিংসতা প্রতিরোধ করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, নিরাপত্তা বাহিনী সক্ষম। নির্বাচন কমিশন বহুদিন ধরে নির্বাচন করে আসছে। এদেশের মানুষ নির্বাচনকে উৎসব মনে করে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। প্রধানমন্ত্রী নিজেও চান, দেশে নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে।
মার্কিন প্রতিনিধিদলকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের তিন হাজারেরও বেশি দৈনিক সংবাদপত্র রয়েছে। এরপর রয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া। সেখানে তো নানা ধরনের সংবাদ দেয়া হয়। কাজেই এখানে দুর্নীতি করে কিংবা ভোট কারচুপি করে কেউ পার পাবে বলে আমার মনে হয় না। সেই ধরনের মনোবৃত্তি আমাদের রাজনৈতিক দলের নেই।
তিনি বলেন, আমি তাদের (পর্যবেক্ষক দলকে) বলেছি, আমাদের মিডিয়া পিপল একদম ফ্রি। তারা যে কোনো সংবাদ যে কোনো সময় ছাপিয়ে দেন। সেই ব্যাপারে আমরা কারও কণ্ঠরোধ করি না।
কোনো প্রার্থী বিশেষ করে বিরোধীদল যদি নিরাপত্তাহীনতার আশঙ্কা করে তাহলে সরকার কী করবে, এমন প্রশ্ন করেন প্রতিনিধিদলের সদস্যরা।
এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। দেশে পুলিশ প্রশাসন সক্রিয়, ৯৯৯ নম্বর সক্রিয়। নির্বাচন ছাড়া, ক্ষমতা হস্তান্তরের সুযোগ নেই।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পূর্ব পরিস্থিতি যাচাই করতে গত শনিবার ঢাকায় আসেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক নির্বাচন পর্যবেক্ষক দলের প্রতিনিধিরা। ৭ সদস্যের প্রতিনিধি দল ও তাদের সহায়তাকারীরা ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশে অবস্থান করবেন বলে জানা গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) ও ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউট (এনডিআই) যৌথভাবে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ প্রাক নির্বাচন সমীক্ষা মিশন পরিচালনা করবে।