বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টা থেকে অনলাইনে বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগ এর আবেদন গ্রহণ শুরু হয়েছে।
চতুর্থ এই গণবিজ্ঞপ্তিতে ৬৮ হাজার ৩৯০ জন নিয়োগের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
টেলিটক জানিয়েছে, একটি রোল, ব্যাচ এবং রেজিস্ট্রেশন নম্বর ব্যবহার করে কেবলমাত্র একটি আবেদন করা যাবে। ফি জমা দেওয়ার আগ পর্যন্ত আবেদনটি ড্রাফট হিসেবে সংরক্ষিত থাকবে।
প্রতিটি আবেদনের জন্য একটি ট্র্যাকিং নম্বর দেওয়া হবে, যা ব্যবহার করে ফি প্রদান করতে হবে। কেবলমাত্র নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ফি প্রদান করলেই আবেদনটি চূড়ান্ত হিসেবে বিবেচিত হবে এবং পূর্ণাঙ্গ তথ্য সম্বলিত একটি অ্যাপ্লিক্যান্ট কপি পাওয়া যাবে।
আবেদন-সংক্রান্ত কোনো সাহায্যের জন্য টেলিটকের কাস্টমার কেয়ারে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
চতুর্থ ধাপের শিক্ষক প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৬৮ হাজার ৩৯০টি এমপিওভুক্ত বা প্যাটার্নভুক্ত এন্ট্রি লেভেলের শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। এসব পদের মধ্যে বিভিন্ন এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজে ৩১ হাজার ৫০৮টি পদ এবং মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৩৬ হাজার ৮৮২টি পদ রয়েছে।
আবেদনকারীর যোগ্যতা বিষয়ে গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট বিষয়, পদ ও প্রতিষ্ঠানের ধরন অনুযায়ী নিবন্ধনধারী হতে হবে, এনটিআরসিএ কর্তৃক প্রকাশিত সম্মিলিত মেধা তালিকার অন্তর্ভুক্ত থাকতে হবে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ থেকে জারিকৃত সর্বশেষ জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী কাম্য শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পন্ন হতে হবে। কাম্য শিক্ষাগত যোগ্যতার বিবরণ দেখার জন্য এনটিআরসিএর ওয়েবসাইটের ‘চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি’ নামের সেবা বক্সে ক্লিক করতে হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ থেকে জারিকৃত সর্বশেষ জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী প্রার্থীকে আবশ্যিকভাবে কেবলমাত্র তার শিক্ষক নিবন্ধন সনদে উল্লিখিত বিষয় সংশ্লিষ্ট পদ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আবেদন করতে হবে। মিথ্যা তথ্য দিয়ে আবেদন করলে এবং তদানুযায়ী নিয়োগ সুপারিশ প্রাপ্ত হলে ওই সুপারিশ বাতিলসহ তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ নেওয়া হবে।
আবেদনকারীর বয়স নিয়ে গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রার্থীর বয়স ২০২০ খ্রিস্টাব্দের ২৫ মার্চ ৩৫ বছর বা তার কম হতে হবে। প্রত্যেক আবেদনকারী নিবন্ধন সনদ অনুযায়ী একই পর্যায়ে (স্কুল/কলেজ) একটি মাত্র আবেদন করতে পারবেন।