Ishtiak Hossain Rohan, Staff Correspondent
শুক্রবার ২৩ ডিসেম্বর শুরু হওয়া তিন দিনের ছুটিতে কক্সবাজারে নেমেছে অসংখ্য পর্যটক এর ঢল। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই মুখর হয়ে উঠেছে সমুদ্র সৈকত ও স্থানীয় দর্শনীয় স্থানগুলো। হোটেল ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে হোটেল-মোটেল, গেস্ট হাউসের সকল রুম বুকিং হয়ে গেছে।
শুক্র-শনিবার ছুটির সাথে যুক্ত হয়েছে ২৫ তারিখের বড়দিনের ছুটি, আর এতেই ভ্রমণপিপাসুদের ভালো সাড়া পেয়েছেন কক্সবাজারের হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ীগণ। পাশাপাশি সার্বিক নিরাপত্তা তত্ত্বাবধানে রয়েছে টুরিস্ট পুলিশ ও জেলা প্রশাসন।
খোঁজ নিয়ে দেখা যায় প্রায় সবকটি হোটেলেই পর্যটকদের মুখর পদচারণা। এদের অনেককেই হোটেল রুম পেতে বেগ পোহাতে হচ্ছে, ছুটতে হচ্ছে এক হোটেল থেকে অন্য হোটেলে। সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে দেখা যায় হাজার পর্যটকদের ভিড়।
শুধু কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত নয়, পর্যটকরা ঘুরে বেড়াচ্ছেন প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন, পাথুরে সৈকত ইনানী, হিমছড়ি ও রামু বৌদ্ধ মন্দির, মহেশখালী আদিনাথ মন্দিরেও।
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশ এর পক্ষ থেকে জানানো হয়, ‘টানা তিনদিনের ছুটিতে কয়েক লাখ পর্যটকের সমাগম হতে পারে। তাই আমাদের ট্যুরিস্ট পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। পর্যটকদের নিরাপত্তায় আমরা সবসময়ই সজাগ আছি।
পর্যটন ব্যবসায়ীরা জানান, ডিসেম্বরের প্রথম দিকে তেমন পর্যটকে সাড়া পাওয়া যায়নি তবে বর্তমানে যে পরিমাণ পর্যটকদের আনাগোনা দেখা দিয়েছে তাতে করে তারা তাদের ক্ষতি পুষিয়ে আনার আশা করছেন।