আগের আসরগুলোর মতোই এবারও বিপিএলের আসন্ন নবম সংস্করণে নক-আউট পর্যায়ের আগ পর্যন্ত ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম (ডিআরএস) এর ব্যবস্থা থাকছে না ।
বাংলাদেশের ২০২৩ সালের ক্রিকেটসূচি শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) দিয়ে। বরাবরের মত এবারও ফ্র্যাঞ্চাইজি-ভিত্তিক এই টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টটি ভবিষ্যতে বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনবে বলে আশা করা হচ্ছে।
যদিও বিপিএলের আসন্ন নবম সংস্করণ, জানুয়ারির ৬ তারিখ থেকে শুরু হতে চলেছে, কিন্তু বিভিন্ন কারণে এই আসর পূর্ববর্তী আসরগুলির তুলনায় ছোট আকারে অনুষ্ঠিত হবে। ক্রিকেটাররা তাই ঘরোয়া সার্কিটের পরিচিত এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা অন্য মাত্রায় নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন।
আগের আসরগুলোর মতোই এবারও বিপিএলের আসন্ন নবম সংস্করণে নক-আউট পর্যায়ের আগ পর্যন্ত ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম (ডিআরএস) এর ব্যবস্থা থাকছে না এবং টুর্নামেন্ট উদ্বোধনের আগে এই বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। ডিআরএস সিস্টেম না থাকায় হতাশা প্রকাশ করেছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের প্রধান কোচ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন। তিনি বলেছেন, এই প্রযুক্তির অনুপস্থিতি গ্রুপ পর্বের প্রতিটি ম্যাচ তথা টুর্নামেন্টের ফলাফলের উপর বিশাল প্রভাব ফেলতে পারে।
সালাহউদ্দিন গতকাল গণমাধ্যমের সামনে তার মতামতে বলেছেন,”এটি একটি বড় টুর্নামেন্ট, তাই স্পষ্টতই ডিআরএস প্রযুক্তি না থাকায় আমরা হতাশ। বলা যায় না, হয়তো শুধুমাত্র একটি ভুল সিদ্ধান্তের কারণে যে কোন দল টুর্নামেন্ট থেকে বাদ পড়ে যেতে পারে।” “এছাড়াও, যেহেতু টুর্নামেন্ট শুরুর আগে যথেষ্ট সময় ছিল এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কাছে এখন প্রচুর অর্থ রয়েছে, আমি মনে করি এই টুর্নামেন্টে ডিআরএস সিস্টেম ব্যবহার করা অবশ্যই প্রত্যাশিত ছিল।”
কুমিল্লা বিপিএল ইতিহাসের সবচেয়ে সফল ফ্র্যাঞ্চাইজি। তারা তিনবারের চ্যাম্পিয়ন এবং সালাহউদ্দিন এবারও চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। সালাহউদ্দিনের মতে, “টুর্নামেন্টে মাত্র সাতটি দল আছে, তাই দ্বিতীয় হওয়ার কোন সুযোগ নেই। আপনাকে এক নম্বর হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামতে হবে। তাই, দলের সকল সদস্যের একই বিশ্বাস থাকলে এই উদ্দেশ্য হাসিল করা সবার জন্য সহজ হয়ে যায়, যাতে দল সঠিক পথে এগিয়ে যেতে পারে।”
অন্য দলগুলোও এই টুর্নামেন্ট উপলক্ষে তাদের প্রস্তুতির কথা জানিয়েছে। এদিকে প্রথম ফ্র্যাঞ্চাইজি দল হিসেবে রংপুর রাইডার্স তাদের নিজেদের মাঠে প্রশিক্ষণ শুরু করেছে। গতকাল বসুন্ধরা স্পোর্টস কমপ্লেক্সে নতুন বছরের প্রথম দিনে নুরুল হাসান সোহানের নেতৃত্বে দলটি অনুশীলন করেছে।
গতকাল গণমাধ্যমকে সোহান বলেন, “আমরা খুবই উদ্দীপ্ত। আগে আমাদের প্রশিক্ষণের জন্য দুই-তিন ঘণ্টা বরাদ্দ থাকত। আমরা চাইলেও বেশিক্ষণ অনুশীলন করতে পারতাম না। এখন যেহেতু আমাদের নিজস্ব মাঠ আছে, তাই আমাদের এখন তেমন কোনো বাধা নেই।‘’ “আমরা সকালে আমাদের প্রশিক্ষণ শুরু করেছি এবং এখন আমরা যখনই চাই তখনই অনুশীলন করতে পারি এবং প্রতিটি খেলোয়াড় তাদের স্কিল নিয়ে আরো ভালো করে কাজ করার সুযোগ করার পাচ্ছে,”।
সোহান আরো বলেন, “অবশ্যই এটা ভালো লাগছে (অধিনায়কত্ব পাওয়া) কিন্তু আমার কাছে একটি দল হিসেবে ভালো করাটা আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের দলটিতে তারুণ্য এবং অভিজ্ঞতা উভয়েরই সংমিশ্রণ আছে। আমি মনে করি এটি একটি খুব ভালো প্ল্যাটফর্ম এবং আমাদের খেলোয়াড়দের জন্য একটি বড় সুযোগ যাতে তারা তাদের যোগ্যতা প্রমাণ করতে পারে।”
শুক্রবার বিপিএলের উদ্বোধনী দিনে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের মুখোমুখি হওয়ার আগে বুধবার খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে অনুশীলন ম্যাচ খেলবে রংপুর।