প্রতিনিয়তই দোকান বানিজ্যের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রক্তক্ষয়ী সংঘাত ঘটছে পতেঙ্গা থানাধীন পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত বেড়িবাঁধ এলাকাই।
অভিযোগ রয়েছে, দুটি সংগঠনের চাঁদা উত্তোলনকে কেন্দ্র করে ভাসমান দোকান থেকে চাঁদাবাজীকে উস্কে দেওয়ার ক্ষেত্রে থানা পুলিশ ও টুরিস্ট পুলিশ প্রত্যক্ষ ভূমিকা রাখছে।
তথ্যমতে,দোকান মালিকদের জিম্মি করে প্রতিদিনই ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা চাঁদা আদায় করে নিজেদের মধ্যে ভাগবাটোয়ারা করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। দুইটি কথিত সমবায় সমিতির আড়ালে এখানে দিনের পর দিন চলছে চাঁদাবাজি ও অপরাধকর্মকান্ড চলছে বলে জানা যাই।
তত্যমতে, কিশোরগ্যাং এর নেতৃত্বে থাকা একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ দাপট গেড়ে আছে অত্র এলাকাই । তাদের বিরুদ্ধে এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর অস্থায়ী দোকানদর স্থানীয় সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ কর্তৃক ভাঙচুর, লুট ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগে ৭ জনসহ ১০ থেকে ১২জনকে অজ্ঞাত হিসেবে আসামী করে চীফ মেট্রোপলিটন হাকিমের আদালতে একটি ফৌজদারি অভিযোগকরেছেন। যার সি.আর মামলা নং সিআর -০৬/২৩
দোকানদার জানান, ১০/১২ জন সশস্ত্র কিশোরগ্যাং সন্ত্রাসী একটি কথিতসংগঠনের নামে চাঁদার দাবীতে ২ দফায় তার দোকানে হামলা, ভাঙ্গচুরসহ তার অর্থ ছিনিয়ে নেয়
তিনি আরো জানান, টুরিস্ট পুলিশের সামনেই তাকে হামলার শিকার হতে হয়েছে। হামলার শিকার হওয়ার পর তিনিপতেঙ্গা থানায় গেলে সেখান থেকে দীর্ঘক্ষন অপেক্ষার পরও মামলা বা অভিযোগ কোন আইনি সহায়তা নাপেয়ে ন্যায্য বিচারের দাবীতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি।
মামলার একজন আসামি জানায়, আমাদের সমিতির অনুমতি না নিয়ে রাতের অন্ধকারে দোকান নির্মাণ করেছে মামলার অভিযুক্ত অন্য এক আসামী নিজেকে পতেঙ্গা থানাযুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পরিচয় দেয়।
পতেঙ্গা বেড়িবাঁধে প্রতিটি দোকান বরাদ্দ দেওয়া হয় ৪০-৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত যার প্রতিটা অংশ ভাগ বাটোয়ারা হয় নিজেদের মধ্যেই।
পতেঙ্গার এই গন্তব্যহীন চাঁদার লক্ষ লক্ষ টাকা এক ওপেনসিক্রেট বিষয়।
ডেস্ক রিপোর্ট