CTG News 24 (CN24) Desk
চবি ছাত্রলীগ সভাপতি রেজাউল হক রুবেল, বিশ্ববিদ্যালয়ের আঙ্গিনা ছাড়ছেননা এক যুগেরও বেশি সময় ধরে। পাশাপাশি ছাত্রলীগের নাম ভাঙিয়ে জন্ম দিয়েছে বেশ কিছু আলোচিত ঘটনার। এমনকি তার বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল করেছে তার ইউনিট এর ছাত্রলীগ কর্মীরা।
২০১৯ এ ছাত্রলীগ সভাপতির পদে আসা রুবেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০০৬-০৭ সেশনের ছাত্র। ১৭ বছর পার হওয়ার পরেও ছাড়তে পারছেনা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল রুমের মায়া। তার সেশনের অনেকেই এখন চবি শিক্ষক, এমনকি কেউ কেউ পদোন্নতিতে হয়েছেন সহকারী অধ্যাপক। এতকিছুর পরও তিনি এখনো নিজেকে শিক্ষার্থী হিসেবেই পরিচয় দিতে পছন্দ করেন।
চবির শাহ আমানত হলের তৃতীয় তলায় ৩১১ নম্বর কক্ষে থাকেন তিনি। তিনজনের আসন আপাতত একাই দখল করে আছেন ছাত্রলীগের এ নেতা। শুধু তাই নয়, কক্ষের দরজায় বড় করে লেখা আছে- ‘রেজাউল হক রুবেল, সভাপতি, চবি ছাত্রলীগ’। এমন বিলাসী জীবনযাপনের আলোচনা অনেক আগের।
কিছুদিন আগেই ভাইরাল হয়েছিল কর্মীদের দিয়ে পা টিপানোর ছবি। আর এবার আবারো দেখা গেলো চবি ছাত্রলীগের এক সহ-সভাপতির গায়ের উপর পা চড়িয়ে দিয়ে মোবাইল মগ্ন সভাপতি রুবেল।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে শাখা ছাত্রলীগের এক নেতা বলেন, এগুলো নতুন নয়৷ ছাত্রলীগ সভাপতি বিভিন্ন সময় তার কর্মকাণ্ডের জন্য সমালোচিত হয়েছেন। তবুও তিনি নিজেকে শুধরাননি কখনো। তাছাড়া কর্মীরা বেশিরভাগ তার ৮/১০ বছরের ছোটো, তাহলে এমন কাজ তো করানোই স্বাভাবিক। নেতৃত্বের ধারাবাহিকতা না থাকায় এরকম সেশন গ্যাপ তৈরি হয়েছে। কেউই ছাত্র থাকা অবস্থায় নেতৃত্বের সুযোগ পান না। তাই ছাত্রলীগের অনুসারীরা ধরেই নিয়েছেন নেতৃত্বে আসতে হলে ক্যাম্পাসে ৮-১০ বছর থাকতে হবে কমপক্ষে। আমাদের এ জায়গাগুলোতে পরিবর্তন আনা উচিত।
২০২০ সালে এক তরুণীকে নিয়ে আগ্রাবাদের এক আবাসিক হোটেলে রাত কাটিয়ে ব্যাপক সমালোচনায় পড়েছিলেন রুবেল।
২০২২ সালের জুলাইয়ে ক্যাম্পাসে যৌন হয়রানি হওয়া এক ছাত্রীকে প্রক্টর অফিসে অভিযোগ জানাতে বাধা দিয়েও আলোচনায় আসে রেজাউল হক রবেল। এ ঘটনায় ৩ দফা কারণ দর্শানোর নোটিশও পান কেন্দ্রিয় ছাত্রলীগ থেকে।