মানুষের প্রতিষ্ঠান, মানুষই ভাঙ্গবে, মানুষই গড়বে- লাইভে বিদ্যানন্দের কিশোর কুমার দাস

|| CTG News 24  (CN24) , National Desk

সম্প্রতি বিদ্যানন্দের  কয়েকটি বিতর্কিত ফেইসবুক পোস্ট এবং তাদের কর্মকাণ্ড নিয়ে জনমনে যে উদ্বেগ ও সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে তা নিয়ে গতকাল ফেইসবুকে নিজের বক্তব্য তুলে ধরেছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা কিশোর কুমার দাস।

তিনি বলেন- পাহাড়ের জমির মালিকানা প্রজেক্ট শেষে মূল মালিকের কাছে ফিরে যাবে। এছাড়া কক্সবাজারের রামুর জমিটি নগদ অর্থে তখনকার বাজার মুল্যে কেনা। যদি জমি বিক্রেতা আজ ও সে জমি ফেরত চান, তবে বিক্রিত মুল্য পরিশোধ করে (ডিপ্রিশিয়েশন এডজাস্ট করে) জমিটি ফেরত নিতে পারবেন। আমরা এটা নিয়ে বিক্রেতার সাথে কথা বললে, তিনি ফেরত নিতে রাজী হন নি। এই নিয়ে তার পরিবারের একজন মিথ্যা প্রচার করে যাচ্ছে, যেটাকে পরিবারের কর্তা এড়িয়ে যেতে বলেছিলেন।

তিনি আরও বলেন –বিদ্যানন্দের জমিগুলোর মালিকানা বিদ্যানন্দের, আমার নামে নয়। বিদ্যানন্দের পক্ষে দায়িত্বপ্রাপ্ত একজন সাইন করতে পারে।

তার বক্তব্য আরও উঠে এসেছে -আমরা সব দলের মানুষকে সংযুক্ত করার চেষ্টা করেছি। বিএনপি’র আমির খসরু সাহেবকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। বিদ্যানন্দের ব্যাংক এর টাকা একাধিক স্বাক্ষরে উঠে, এবং দেশে না থাকার জন্য আমার সাইন ব্যবহার হয় না। অন্যদিকে, ফেইসবুকের এক লাইভে শিখা নামে একজনকে আমার বোন দেখানো হয়েছে। শিখার পুরো নাম হচ্ছে সুলতানা জান্নাত। ধর্মপ্রাণ মুসলিম এই মেয়েটি বিদ্যানন্দের আমার প্রিয় এক স্বেচ্ছাসেবী ছিলো, তবে রক্তের সম্পর্ক নেই।

 ফেইসবুকে রূপক অর্থে নাম ব্যবহার প্রসঙ্গে বলেন –মজিদ চাচা নয়, আপনি সুলতান, রহিমা কিংবা কলিম চাচা নামেও অনেক পোষ্ট পাবেন। গ্রামের নামগুলো সাধারণত কমন হয় এবং বিখ্যাত মানুষের নামেই থাকে। সে নামে একবার লিখে বিপদে পড়েছিলাম (মানহানী মামলার ঝুঁকি), কারণ একই নামে একজন রাজনৈতিক নেতা ছিলেন। তাছাড়া একই ইভেন্টের ছবি একাধিক পোস্টে দেয়া হয়। যেমন – গরু কেনা হয়েছে, গরু প্রসেস করা হয়েছে, রান্না হচ্ছে, আহার করছেন ইত্যাদি। বিদ্যানন্দের কাছে দাতব্য কাজটি অভিযাত্রার মতো। শুধু লক্ষ্যটা মূখ্য নয়, যাত্রাপথে আপনাদের সঙ্গী করতে চাই।

তিনি আরও যুক্ত করেন –সীমিত রিসোর্সে প্রতিষ্ঠান চলে। এখানে খুব পেশাদার আপডেট দেয়া সম্ভব হয় না। কিন্তু তাঁদের মতো বিশাল এডমিন খরচের বোঝাটা আমরা নিতে চাই নি। ৯৫% বিশেষ খাবার আয়োজন স্পেসিফিক দাতার স্পন্সরে হয়। আয়োজন শেষে খাবার ছবি প্রমানসহ পাঠানো হয়। আর যদি তাতেও বিশ্বাসযোগ্য না হয় তবে তাঁদের সিদ্ধান্ত মেনে নিবো।

বিদ্যানন্দ মূলত নিজেদের ফেসবুক পেজগুলোতে অনুপ্রেরণার পোষ্ট শেয়ার (৩০,০০০ এর কাছাকাছি হবে) করে।৯৯.৯% শুদ্ধ হলেও কিছু অনুসারী ০.১% ভুলকে বড় করে দেখতে চাচ্ছেন। আমরা সে ভুলটাকেও শুদ্ধ করতে চাই।

বিদ্যানন্দের দশ বছরের ইতিহাসে কয়েকজন কর্মীকে বহিস্কার করা হয়েছে নৈতিক স্থলনের জন্য। তাঁদের ক্যারিয়ার নষ্ট না করতে আমরা লিগ্যাল একশনে যাই না। এই মানুষগুলো কিছু বছর পর উল্টা ব্লেইম দিতে থাকে এতেও বেশ ক্ষতিতে পড়ে আমাদের ইমেজ।

পরিশেষে তিনি বলেন, ভুল থাকবেই বিদ্যানন্দের অনেক পদক্ষেপে। শুধু বলতে পারি, কাজটা শুদ্ধভাবেই করার চেষ্টা করি। ভবিষ্যতে শুদ্ধ করার সুযোগ না পেলেও আফসোস থাকবে না। মানুষের প্রতিষ্ঠান, মানুষই ভাঙ্গবে, মানুষই গড়বে।

Related Posts

আইনজীবী আলিফ হত্যা: দুই আসামি রিমান্ডে

চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার মামলায় প্রধান আসামি চন্দন দাস এবং অপর আসামি রিপন দাসের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এর মধ্যে চন্দন দাসকে সাত দিন এবং রিপন…

Read more

ভয়মুক্ত নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি: প্রধান উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ভয়মুক্ত এক নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখার কথা বলেছেন, যেখানে জনগণ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সঙ্গে বসবাস করবে। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ধর্মীয় নেতাদের…

Read more

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *