CTG News 24 (CN24) National Desk
শনিবার (২৩ মার্চ) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক শরফুদ্দিন আহমেদের ব্যক্তিগত সহকারীসহ দুই চিকিৎসককে সহকর্মীদের মারধরের পর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়।
লোক নিয়োগ দিয়ে ভিসির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে শনিবার ভিসির কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেছেন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) বিএসএমএমইউ ইউনিটের শিক্ষকরা।
বিক্ষোভে যোগ দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও নার্সরাও।
এ সময় বিক্ষুব্ধ চিকিৎসকরা উপাচার্যের ব্যক্তিগত সহকারী ডা. মোঃ রাসেল আহমেদকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে তার কার্যালয় থেকে বের করে দেন।
এছাড়া একই অভিযোগে বিএসএমএমইউর সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের অতিরিক্ত পরিচালক ডা. রসুল আমিন শিপনকে লাঞ্ছিত করে বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়তে বাধ্য করা হয়।
ব্যক্তিগত সহকারীকে মারধরের কথা স্বীকার করে অধ্যাপক ড. শরফুদ্দিন আহমেদ বলেন, আমি শুনেছি তারা বেশ কয়েকজনকে মারধর করেছে। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে কথা বলব।
আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী স্বাচিপের বিএসএমএমইউ ইউনিটের সদস্য সচিব অধ্যাপক মোঃ আরিফুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টিটো অভিযোগ করেন, বিএসএমএমইউতে নতুন উপাচার্য নিয়োগের গেজেট বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
সাধারণত সাবেক ভিসি নতুন ভিসি নিয়োগের পর তার রুটিন দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু বিদায়ী ভিসি শতাধিক চিকিৎসক, কর্মচারী ও প্রায় ৩০ জন প্রশাসনিক কর্মকর্তা নিয়োগ দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। ওই নিয়োগের পেছনে বিপুল অর্থের লেনদেন হয়েছে বলে সন্দেহ সবার।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, বহিষ্কৃত দুই চিকিৎসক গত তিন বছরে বিএসএমএমইউতে সব ধরনের লেনদেন, অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন।
শনিবার বিক্ষুব্ধ একদল চিকিৎসক ওই দুই চিকিৎসককে সিএনজি অটোরিকশায় তুলে তাদের অফিসে ঘুষি, লাথি ও মারধর করে।
উল্লেখ্য, আগামী ২৮ মার্চ উপাচার্য হিসেবে অধ্যাপক ড. শরফুদ্দিন আহমেদের মেয়াদ শেষ হতে যাচ্ছে। এদিকে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাঃ দীন মোঃ নুরুল হক গত ১১ মার্চ বিএসএমএমইউর উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান।