|| CTG News 24 (CN24), National Desk
বাংলাদেশ সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আজ বলেছেন, আগামী ২০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে পদ্মা সেতু দিয়ে মোটরসাইকেল চলতে পারবে।একই সাথে তিনি হুঁশিয়ার দিয়ে বলেছেন, শৃঙ্খলা না মানলে এ সুযোগ বাতিল করা হবে, “আশা করি আপনারা সুযোগটি নষ্ট করবেন না।”
অপরদিকে দীর্ঘ প্রায় ১০ মাস পর বাইকারদের দাবি পূরণ হতে চলেছে এবং একই সাথে পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিচ্ছে সরকার, ঈদের আগেই কার্যকর হওয়াতে বাইকারদের জন্য ভালো সুযোগই বলা যায় ।
মঙ্গলবার গণভবনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে পরীক্ষামূলকভাবে এ সুযোগ দেওয়া হয়েছে। সার্ভিস লেইন ব্যবহার করে মোটরসাইকেলে পদ্মা সেতু দিয়ে চলাচল করা যাবে। সার্ভিস লেইন ছেড়ে সেতুর মূল লেইনে প্রবেশ করা যাবে না।”
মোটরসাইকেলের গতিসীমার উপর আলোকপাত করে তিনি আরও জানান, “পদ্মা সেতু পার হতে মোটর সাইকেলের সর্বোচ্চ গতি হবে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার।”
গত বছরের ২৬ জুন পদ্মা সেতু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করার পর গতবছরের ২৬ জুন পদ্মা সেতু যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়। সেইদিনই মোটর বাইকের আরোহীরা সেতুর উপর উঠে দল বেঁধে আনন্দ-উল্লাস আর হৈ-হুল্লোড়ে মাতেন।
কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেই রাতে বাইক দুর্ঘটনায় দুজনের মৃত্যু হলে, ২৭ জুন ভোর থেকে পদ্মা সেতুতে মোটর সাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করে সেতু বিভাগ।
এবারের ঈদযাত্রার আগে সড়কের পরিস্থিতি নিয়ে গত ২ এপ্রিল ঢাকায় একটি সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। সংগঠনের মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী সেদিন বলেন, মোটরসাইকেলে ঈদযাত্রার সুযোগ দিলে রাজধানীর ৫ থেকে ৬ লাখ বাইকার দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যেতে পারেন। এতে ঈদযাত্রা খানিকটা স্বস্তিদায়ক হলেও সড়কে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ‘বহুলাংশে বেড়ে যাবে’।
গত মার্চ মাসেও ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, পদ্মা সেতু ‘শান্তিতে আছে’, সেখানে মোটর সাইকেল ‘আপাতত না’। এর এক মাসের পরে তিনি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এই অনুমতি দেওয়ার কথা বললেন।