CTG News 24 (CN24) International Desk
ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডের নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ২ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি মানুষ।
এই নিহতদের মধ্যে ইসরায়েলি সেনা ও হামাসের যোদ্ধাদের পাশাপাশি দুই অঞ্চলের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারী, শিশু, বেসামরিক লোকজন এবং বেশ কয়েকজন বিদেশি নাগরিক রয়েছেন।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্স (আইডিএফ) জানিয়েছে, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত সেখানে নিহতের সংখ্যা ১ হাজার ৩০০ জন ছাড়িয়ে গেছে।
আর গাজা উপত্যকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শনিবার থেকে এ পর্যন্ত উপত্যকায় নিহত হয়েছেন অন্তত ১ হাজার ৫৩৭ জন এবং আহত হয়েছেন আরও ৬ হাজার ৬১২ জন। ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা চলছে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর এবং রাজধানী পূর্ব জেরুজালেমেও।
সেখানকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, শনিবার থেকে এ পর্যন্ত পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে নিহত হয়েছেন অন্তত ৩৬ জন।
এদিকে শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, গত ছয় দিনে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনে নিহত হয়েছেন অন্তত ২৫ জন মার্কিন নাগরিক।
২০২১ সাল থেকে পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি শেষে ৮ অক্টোবর শনিবার ভোর রাত থেকে দক্ষিণ ও মধ্য ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে একের পর এক রকেট ছোড়া শুরু করে গাজা ভূখণ্ডের নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাস।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ এবং হামাসের উচ্চ পর্যায়ের একাধিক সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, শনিবার সূর্যের আলো পুরোপুরি ফোটার আগেই ৩ হাজারেরও বেশি রকেট ছোড়া হয়েছিল ইসরায়েলের বিভিন্ন সামরিক-বেসামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে।
কাছাকাছি সময়ে মোটরচালিত প্যারাগ্লাইডারে চেপে হামাসের বেশ কয়েকজন যোদ্ধা সীমান্ত পেরিয়ে ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর দক্ষিণাঞ্চলীয় কমাণ্ডের কার্যালয়ে গিয়ে সেনা কর্মকর্তা ও সদস্যদের বন্দি ও জিম্মি করার পাশাপাশি ওই কমান্ডের সঙ্গে সেনাবাহিনীর মূল কমান্ড ও অন্যান্য শাখার কার্যালয়ের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
তার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই মোটরসাইকেল ও জীপে করে সীমান্ত পেরিয়ে ইসরায়েলে প্রবেশ করেন হামাসের আরও কয়েক শ’যোদ্ধা। গোয়েন্দা তথ্যের ঘাটতি ও পূর্বপ্রস্তুতি না থাকার কারণে হামাসের হামলার পর প্রথম দিকে খানিকটা অপ্রস্তুত অবস্থায় ছিল ইসরায়েল।
কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যেই যুদ্ধে পূর্ণ শক্তিতে ফিরে আসে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। ১৯৫৩ সালের পর এই প্রথম এত বড় মাত্রার যুদ্ধ হচ্ছে আল আকসা অঞ্চলে। ইসরায়েলের সরকার ইতোমধ্যে হামাসকে চিরতরে ধ্বংস করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।