|| CTG News 24 (CN24) National Desk
শনিবার সারাদেশে মুসলমানদের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর বড় উৎসব ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে।
ঈদের জামাতের পরে মোনাজাতের সময়, মুসলমানরা সকল প্রতিকূলতা এবং ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্যকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করার জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে দোয়া জন্য প্রার্থনা করেছিল।
গত শুক্রবার সন্ধ্যায় শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখার মধ্য দিয়ে অত্যন্ত শুভ অনুষ্ঠানটি শুরু হয় এবং রাজধানীসহ অন্যান্য স্থানে মসজিদ, ঈদগাহ ও অস্থায়ী নামাজের স্থানগুলোতে সর্বস্তরের লাখো মানুষের ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায়ের মধ্য দিয়ে আজ সকালে তা উৎসবের চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে।
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশবাসীসহ সারা বিশ্বের মুসলমানদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রাজধানীতে দেশের প্রধান ঈদের জামাত (জামাত) সকাল সাড়ে ৮টায় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে জাতীয় ঈদগাহে অনুষ্ঠিত হয়।প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রিসভার সদস্য, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, সংসদ সদস্য, সিনিয়র রাজনৈতিক নেতা এবং উচ্চপদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারাও প্রধান ঈদের জামাতে নামাজ আদায় করেন।
দিনাজপুরের গর-ই-শহীদ বারো ময়দান এবং কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদগাহে দেশের বৃহত্তম ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় যথাক্রমে সকাল ৯টা ও সকাল ১০টায়।শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে যাত্রী পরিবহনের জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ে এদিন ভৈরব-কিশোরগঞ্জ-ভৈরব এবং ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ রুটে সোলাকিয়া বিশেষ ট্রেন পরিচালনা করছে।বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে সকাল ৭টা, ৮টা, সকাল ৯টা, সকাল ১০টা এবং সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে পাঁচটি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। ঈদের প্রধান জামাত ও এর আশপাশে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
ঈদুল ফিতর উদযাপনের জন্য বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন এবং স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো নিজ নিজ এলাকায় প্রস্তুতি নিয়েছিল।ঈদ উপলক্ষে সব দর্শনার্থীর বিনামূল্যে প্রবেশের অনুমতি দিয়ে শিশু পার্কগুলো রেখে দিয়েছে সিটি করপোরেশন।
বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনেও যথাযথভাবে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়েছে।