|| CTG News 24 (CN24) National Desk
আজ বিএনপি ১০ দফা দাবি (গায়েবি মামলায় গ্রেপ্তার, নির্যাতনসহ ক্ষমতাসীন সরকারের পদত্যাগ) আদায়ে ঢাকাসহ সারাদেশে মহানগর-জেলায় বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছে । এই উদ্দেশ্য ৮২টি সাংগঠনিক জেলায় চারদিনের কর্মসূচি পালন করবে বলে জানা গেছে দলটি।
দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শনিবার (১৩ মে) বিকেলে নয়াপল্টনে মহানগর এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন। কর্মসূচিগুলো হলো- আগামী ১৯ মে ঢাকা মহানগর উত্তরসহ ২৮ জেলা ও মহানগর, ২০ মে ঢাকা মহানগর দক্ষিণসহ ২১ জেলা ও মহানগর, ২৬ মে ঢাকা মহানগর উত্তরসহ ১৯ জেলা ও ২৭ মে ঢাকা মহানগর দক্ষিণসহ ১৫ জেলা ও মহানগরে সমাবেশ।
সরকার পদত্যাগের দাবি তুলে বিএনপির মহাসচিব বলেন, এই দাবিতে আমাদের এই কর্মসূচি হবে। তিনি বলেন, এই আন্দোলন বিএনপিকে ক্ষমতায় নেয়ার জন্য নয়। এই আন্দোলন জনগণকে সঙ্গে নিয়ে গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য, গণতান্ত্রিক উপায়ে শান্তিপূর্ণ উপায়ে এই সরকারকে পতন ঘটিয়ে জনগনের সরকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য।
তিনি বলেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অমান্য, নিম্ন আদালতে আবার আমাদের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করে আবার কারাগারে প্রেরণ, গায়েবি মামলা দিয়ে নির্বিচারে গ্রেপ্তার, মিথ্যা মামলা, পুলিশ হয়রানি, দ্রব্যমূল্যের ঊধর্বগতি, বিদ্যুতের লোডশেডিং, আওয়ামী সরকারের সর্বগ্রাসী দুর্নীতির প্রতিবাদে ও ১০ দফা দাবিতে এই কর্মসূচি হবে।
গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর গণমিছিলে অনুষ্ঠানে মধ্য দিয়ে বিএনপিসহ সমমনা কয়েকটি জোট যুগপৎ আন্দোলন পর ধারাবাহিকভাবে অবস্থান কর্মসূচি, বিক্ষোভ সমাবেশ, বিভাগীয় সমাবেশ, মানববন্ধন, প্রতিবাদ সমাবেশ, মহানগর-জেলা-থানা-ইউনিয়ন পর্যায়ে নিরব পদযাত্রার কর্মসূচি করেছে বিএনপি।
১০ দফার দাবিগুলোর সংক্ষিপ্ত বিবরণ
১. বর্তমান ক্ষমতাসীন ফ্যাসিস্ট সরকারের পদত্যাগ
২. অন্তর্র্বর্তীকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন
৩. সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন
৪. খালেদা জিয়াসহ সব বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীর সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার না করা
৫.ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ এবং বিশেষ ক্ষমতা আইন-১৯৭৪সহ মৌলিক মানবাধিকার হরণকারী সব কালাকানুন বাতিল করা
৬. বিদ্যুৎ, জ্বালানি, গ্যাস ও পানিসহ জনসেবা খাতের মূল্যবৃদ্ধির গণবিরোধী সরকারি সিদ্ধান্ত বাতিল
৭.নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারকে সিন্ডিকেট মুক্ত করা
৮. দুর্নীতি চিহ্নিত করে অতি দ্রুত যথাযথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ
৯. বিচারবহির্ভূত হত্যা ও রাষ্ট্রীয় নির্যাতনের প্রতিটি ঘটনার দ্রুত বিচারের ব্যবস্থা করে যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর, উপাসনালয় ভাঙচুর এবং সম্পত্তি দখলের জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা করা
১০. আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, প্রশাসন ও বিচার বিভাগকে সরকারি হস্তক্ষেপ পরিহার করে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দেওয়া।