চমেক: ছাত্রলীগের ৭ জনকে শিক্ষা কার্যক্রম থেকে বহিষ্কার

CTG News 24 (CN24) Desk

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) ছাত্রাবাসে চার সাধারণ শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের ঘটনায় সাত ছাত্রলীগ নেতাকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করেছে চমেক কর্তৃপক্ষ। আজ বৃহস্পতিবার একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই সাতজনের মধ্যে ছয়জনের বিরুদ্ধে আগেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল।

সাতজনই নিজেদের শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর অনুসারী বলে পরিচয় দেন। তবে মহিবুল হাসান চৌধুরী বারবার বলে আসছেন, তাঁর কোনো পক্ষ নেই। একই কলেজে নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে ছাত্রলীগের একটি পক্ষ রয়েছে।

আজ শাস্তিপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের মধ্যে চমেক ৫৯ ব্যাচের অভিজিৎ দাশকে তিন বছরের জন্য কলেজের যাবতীয় শিক্ষা কার্যক্রম থেকে বহিষ্কার করা হয়। দুই বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয় ৫৯ ব্যাচের রিয়াজুল ইসলাম, ৬২ ব্যাচের সাজু দাশ ও একই ব্যাচের সৌরভ দেবনাথকে। দেড় বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয় মাহিন আহমেদ, জাকির হোসেন ও ইব্রাহিম খলিলকে। তিনজনই ৬২ ব্যাচের শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ইব্রাহিম খলিল ছাড়া বাকিদের আগেও বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়েছিল। কিছুদিন পর তাঁদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শাস্তি মওকুফ করা হয়েছিল।

জানতে চাইলে চমেক অধ্যক্ষ সাহেনা আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, ‘তারা আগেও শাস্তি পেয়েছিল। শাস্তি পরে কিছুটা মওকুফ করা হয়েছিল। কিন্তু তারা শোধরায়নি। তাই আগের শাস্তিসহ মিলে এবার ১ থেকে ৩ বছর পর্যন্ত বহিষ্কার করা হলো।’

উল্লেখ্য, গত ৮ ফেব্রুয়ারি চতুর্থ বর্ষের চার ছাত্র—সাকিব হোসেন, জাহিদ হোসেন, আবু রাইয়াত ও মোবাশ্বির হোসেনকে প্রধান ছাত্রাবাসের একটি কক্ষে নিয়ে পেটানো হয়। তাঁদের মধ্যে দুজনই চমেক হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসা নিয়েছেন। মোবাশ্বির ও আবু রাইয়াত বাড়িতে গিয়ে চিকিৎসা নেন। এই চারজন ছাত্রশিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ এনে তাঁদের মারধর করা হয়েছিল।

এই ঘটনায় চমেক অভিযোগ নিষ্পত্তি কমিটি ঘটনার তদন্ত করে। এর প্রধান ছিলেন উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক হাফিজুল ইসলাম। কমিটির প্রতিবেদনের পর তা নিয়ে আজ একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় আলোচনা হয়। সভায় কাউন্সিলের সদস্যরা অভিযুক্ত ব্যক্তিদের কঠোর শাস্তির পক্ষে রায় দেন। এরপর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিদ্ধান্তটি আজ থেকে কার্যকর বলেও সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

Related Posts

আইনজীবী আলিফ হত্যা: দুই আসামি রিমান্ডে

চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার মামলায় প্রধান আসামি চন্দন দাস এবং অপর আসামি রিপন দাসের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এর মধ্যে চন্দন দাসকে সাত দিন এবং রিপন…

Read more

স্ত্রী হত্যা মামলায় জামিনে মুক্ত সাবেক এসপি বাবুল আক্তার

তিন বছর সাত মাস পর স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় জামিনে মুক্তি পেয়েছেন সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তার। বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বিকাল সাড়ে ৫টায় চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে…

Read more

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *