Mohammad Akil, Staff Reporter
মোসাম্মাৎ জান্নাত, চাঁদপুরের বাসিন্দা, স্বামীর চাকরির সুবাদে দীর্ঘদিন বসবাস গাজীপুরে।সবুজ বার্নার্ড নিখুঁজের দুইদিন পর বোনের বাসা থেকে বাড়ি ফিরছিলেন জান্নাত।
সবুজ যে গার্টমেন্টস এ চাকরি করতো তার পাশের একটি বাঁশঝাড়ে শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন দুটি হাতের টুকরো দেখতে পান এই নারী। খণ্ডিত হাত এর অংশ কার শুরুতে সেটি নিশ্চিত হতে না পারলেও সন্দেহ বাড়তে থাকে।
খণ্ডিত হাত এর অংশ কার শুরুতে সেটি নিশ্চিত হতে না পারলেও সন্দেহ বাড়তে থাকে। পরে থানা পুলিশ এর সহায়তায় খুঁজে করতে থাকেন স্থানীয়রা। উদ্ধার করা হয় শরীরের বাকি ছয় টুকরো। একে একে শরীরের বিভিন্ন অংশের খোঁজ পান পুলিশ ও স্থানীয়রা। শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন এক টুকরো যে সবুজ বার্নার্ডের ছিল সেটি সবারই ছিল অজানা।
মামলাটি পিবিআই হস্তান্তর করার পর শুরু হয় তদন্ত। পারিপার্শ্বিক নানান দিক এবং যোগসূত্র মিলানোর চেষ্টা করে পিবিআই। সিসিটিভি ফুটেজ বলছে শাহিনের খন্ডিত এক টুকরো শরীরের অংশ বস্তায় ভরে গ্রহণ করছেন অভিযুক্ত শাহিনুর রহমান শাহিন। পিবিআই পৌঁছে দিন ও সবুজের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। লাশের টুকরোগুলো বিভিন্ন জায়গায় ফেলে আলামত গায়েবের চেষ্টাও করা হয় । সিসিটিভি ফুটেজ দেখে নিশ্চিত হওয়া যায় ঘটনার মূলহোতা শাহিনুর রহমান শাহিন।
প্রশ্ন হল কি এমন কারণ যে নির্মমভাবে হত্যা করা হলো সবুজ বার্নাড কে? জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় সবুজ শাহিনের স্ত্রীকে বিভিন্ন সময়ে কুপ্রস্তাব দেওয়ায় তা মেনে নিতে না পেরে ৮ টুকরো করে সবুজ বার্নার্ড কে খুন করে শাহীন!