CTG News 24 (CN24) National Desk
সংস্কার কাজের জন্য কালুরঘাট সেতু দিয়ে যানবাহন পারাপার বন্ধ করে দিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। আজ (মঙ্গলবার) সকাল থেকে সবধরনের যানবাহন আগামী তিনমাস পর্যন্ত সেতু দিয়ে পারাপার করবে না।
ফলে অন্যান্য যানবাহনের পাশাপাশি চট্টগ্রাম-দোহাজারী রুটের ডেমু ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে। এসময় সড়ক ও জনপথ বিভাগের ফেরি সার্ভিস যানবাহন পারাপার করবে।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে কক্সবাজার ট্রেন চালু করতে যাচ্ছে রেলওয়ে। চলতি বছরে ট্রেন পরিষেবায় যুক্ত হবে পর্যটন নগরী কক্সবাজার জেলা। তবে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটের কালুরঘাট সেতুটি ট্রেনের উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ভারী ইঞ্জিন বহন করতে সক্ষম নয়।
ফলে সেতুটি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পরামর্শক দলের সুপারিশ অনুযায়ী ৫৫ কোটি টাকা ব্যয়ে সংস্কার করছে রেলওয়ে।
এ কাজের জন্য গত ১৮ জুন ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড নামের এক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। প্রতিষ্ঠানটি কালুরঘাট সেতু মেরামত, নবায়ন ও পথচারী পারাপারের জন্য পৃথক একটি ওয়াকওয়ে নির্মাণ করবে।
সেতুর সংস্কারের জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যে প্রস্তুতিমূলক কাজ শেষ করে সাইটে নির্মাণ সামগ্রী ও ইকুইপমেন্ট মোবিলাইজেশন শুরু করেছে। এই মাসে সেতুর ডেকিং ডিসমেন্টলিং এর কাজ শুরু হবে।
অন্যদিকে, ২০১৪ সালে, সরকার নতুন সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয় এবং সেখানে ব্রিটিশ আমলের সিঙ্গেল-লেন রেল ও সড়ক সেতু বন্ধ করে দেয়।
২০১৮ সালে, একটি একক রেললাইন এবং ডাবল-লেন সড়ক সেতুর জন্য একটি বিশদ প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) প্রস্তুত করা হয়েছিল যার ব্যয় হবে ১১৬৩.২৭ কোটি টাকা।
এখন, সেতুটিতে ডাবল-লাইন ডুয়েল-গেজ রেললাইন এবং একই ডেকের উপর একটি দ্বি-লেনের রাস্তা থাকবে। সেতুটিতে প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হতে যাচ্ছে এবং দক্ষিণ কোরিয়া ঋণের জন্য সম্মতি দিয়েছে।
নকশা পরিবর্তন ছাড়াও ব্যয় বৃদ্ধির জন্য একাধিক সম্ভাব্যতা অধ্যয়ন, বিলম্ব, নির্মাণসামগ্রীর উচ্চমূল্য এবং কর্ণফুলীতে চলাচলকারী নৌযানগুলোকে আরো ছাড়পত্র প্রদানকে দায়ী করা হয়।
যেহেতু নতুন সেতু তৈরি করতে ২০২৮ সময় লাগবে, তাই বাংলাদেশ রেলওয়েকে পুরানো সেতুর মেরামতের বিলও রাখতে হবে, যা ৫০কোটি টাকার বেশি হতে পারে।