CTG News 24 (CN24) National Desk
নানা বর্ণিল আয়োজনে বর্ষবরণ ও বর্ষ বিদায়ের জন্য প্রস্তুত হয় বন্দরনগরী চট্টগ্রাম। এবারও নতুন বর্ষকে বরণ করতে লোকজ নানা উৎসব বসবে চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে।চট্টগ্রামে বৈশাখের ঐতিহ্য ধরে রেখেছে লোকজ মেলা ও বলীখেলা। বৈশাখী সংস্কৃতির অংশ হিসেবে এখানে দেশের সবচেয়ে বড় লোকজ উৎসব হয় আবদুল জব্বারের বলীখেলাকে ঘিরে। চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী জব্বারের বলী খেলা ও ও বৈশাখী মেলার ১১৫তম আসর লালদিঘী ময়দানে আগামী ২৫ এপ্রিল থেকে শুরু হতে যাচ্ছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আবদুল জব্বার স্মৃতি কুস্তি প্রতিযোগিতা এবং মেলা কমিটির সহ-সভাপতি চৌধুরী ফরিদ।
এটাকে কেন্দ্র করে প্রতিবছর ১২ বৈশাখ নানা রঙে রঙিন হয়ে বৈশাখ হাজির হয় চট্টগ্রামের লালদীঘি মাঠে।
এ বলী খেলা দেখতে বৃহত্তর চট্টগ্রাম থেকে লাখো মানুষে ভীড় জমে লাল দিঘী ময়দানে। প্রসঙ্গত, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে যুবসমাজকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য ১৯০৯ সালে লালদীঘির মাঠে এ বলীখেলার আয়োজন করেছিলেন বদরপাতির আবদুল জব্বার সওদাগর। পরবর্তী সময়ে এটি জব্বারের বলী খেলা নামেই পরিচিত।
১২ বৈশাখ বলি খেলা হলেও তিন দিনব্যাপী আনুষ্ঠানিক মেলা অনুষ্ঠিত হয়। তবে বিক্রেতাদের পণ্য বিক্রি ও ক্রেতাদের চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে প্রতি বছরই এ মেলা প্রায় এক সপ্তাহ স্থায়ী হয়।
জব্বারের বলীখেলা ও মেলাকে ঘিরে নগরজুড়ে বিরাজ করে উৎসবের আমেজ। নগরবাসীর মনে দেখা দেয় বাড়তি আনন্দ। দূর-দূরান্ত থেকে বলীখেলা দেখতে ও মেলায় ঘুরতে আসে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের মানুষ। তীব্র গরম ও ভিড় উপক্ষো করে সবাই ঘুরে বেড়ায় মেলার এ-প্রান্ত থেকে ও-প্রান্ত। নগরীর আন্দরকিল্লা, বক্সিরহাট, লালদীঘি পাড়, কেসিদে রোড, সিনেমা প্যালেস, শহীদ মিনার সড়ক, কোতোয়ালি মোড়, জেল রোডসহ তিন কিলোমিটারজুড়ে এ মেলার বিস্তৃতি ঘটে।
এ সময় সড়কগুলোতে গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকে তিন দিনের জন্য। যাতায়াত ব্যবস্থায় জনসাধারণের সাময়িক দুর্ভোগ হলেও এই বলীখেলার উৎসবে এসে চট্টগ্রামবাসী সবকিছুই ভুলে যান এক নিমিষে। মেলা জমজমাট করতে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে দু’তিন দিন আগেই নানা পসরা নিয়ে আসেন ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প ব্যবসায়ীরা। তারা সড়কের দু’পাশ জুড়ে চৌকি বসিয়ে আবার কেউ মাটিতে চট বিছিয়ে সাজান মেলার পসরা। মেলার মধ্যেই কাটান তারা দিন ও রাত। এখানেই চলে খাওয়া-দাওয়া। কাটে তাদের নির্ঘুম রাতও।
উল্লেখ্য যে, গত আসরের অর্থাৎ ১১৪ তম আসরের চ্যাম্পিয়ন (বর্তমান চ্যাম্পিয়ন) কুমিল্লার হোমনার মোহাম্মদ শাহজালাল।